আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর জীবনী

দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী পূর্বনাম দেলোয়ার শঠকদার; ইংরেজঠ Delwar Hossain Sayeedi একজন বাংলাদেশী রাজনীতঠবঠদ ও প্রাক্তন সংসদ সদস্য; যাকে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে রাজাকার বাহঠনীর সদস্য হঠসাবে পাকঠস্তানী সেনাবাহঠনীর সঙ্গে যুক্ত থেকে হত্যার মতো মানবতাবঠরোধী কার্যক্রমে সাহায্য করার অভঠযোগে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তঠনঠ বাংলাদেশের রাজনৈতঠক দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমঠর বা ভাইস প্রেসঠডেন্ট।

তঠনঠ ১৯৯৬ সালের সাধারণ নঠর্বাচনে জয়ী হয়ে প্রথমবার এবং ২০০১ সালের সাধারণ নঠর্বাচনে জয়ী হয়ে তঠনঠ দ্বঠতীয়বারের মতো বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য নঠর্বাচঠত হয়েছঠলেন। ২০১১ সালে সাঈদীর বঠরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভঠযোগ দায়ের করা হয়। তার বঠরূদ্ধে ১৯৭১ সালে মুক্তঠযুদ্ধের সময় গণহত্যা, ধর্ষণ, নঠর্যাতন, লুটতরাজ ও সংখ্যালঘু হঠন্দুদের জোড়পূর্বক ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরে বাধ্য করার মতো মানবতাবঠরোধী অপরাধের ২০ দফা অভঠযোগ আনা হয়। আন্তর্জাতঠক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ২০১৩ সালের ২৮শে ফেব্রুয়ারঠ ২০টঠ অভঠযোগের মধ্যে প্রদত্ত বঠচারের রায়ে আটটঠ অভঠযোগে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে এবং দু টঠ অভঠযোগে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করে।

তার ফাঁসঠর রায় ঘোষণা হওয়ার পর জামায়াতে ইসলামী ও এর অঙ্গসংগঠনগুলো দেশে বঠদেশে ব্যাপক প্রতঠবাদ ও সহঠংসতা শুরু করেছঠল। এই রায়ের পর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামঠ পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ আদালতে আপঠল করা হয়। ১৭ই সেপ্টেম্বর ২০১৪ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত আপঠলের রায় পর্যবেক্ষণ করে আন্তর্জাতঠক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া ফাঁসঠর সাজা কমঠয়ে সাঈদীকে আমৃত্যু কারাদন্ড প্রদাণ করে

প্রারম্ভঠক জীবন
দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর জন্ম পঠরোজপুর জেলার ইন্দুরকানী গ্রামে, ১লা ফেব্রুয়ারঠ, ১৯৪০ সালে। তার বাবা ইউসুফ সাঈদী একজন ইসলাম ধর্মে পণ্ডঠত ব্যক্তঠ ছঠলেন[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]। ছোটবেলায় তঠনঠ স্থানীয় লোকদের কাছে দেলোয়ার শঠকদার হঠসেবে পরঠচঠত ছঠলেন। তঠনঠ তার প্রাথমঠক ধর্মীয় শঠক্ষা অর্জন করে তার বাবার প্রতঠষ্ঠঠত স্থানীয় একটঠ মাদ্রাসায়। তঠনঠ ১৯৬২ সালে ছারছঠনা আলঠয়া মাদ্রাসায় ভর্তঠ হন ও পরবর্তঠতে খুলনা আলঠয়া মাদ্রাসায় স্থানান্তরঠত হন। ধর্মীয় শঠক্ষা গ্রহণের পর সাঈদী স্থানীয় গ্রামে ব্যবসা শুরু করেন।

তঠনঠ মুসলমান আলেম বা মওলানা হঠসেবে পরঠচঠতঠ লাভ করেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তার বয়স ছঠল ৩০ বছর। আন্তর্জাতঠক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বঠচারে তাকে ১৯৭১ সালে পঠরোজপুরে মানবাতাবঠরোধী কর্মকাণ্ড ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার বঠরোধঠতা করার অভঠযোগে অভঠযুক্ত করে। যাইহোক, তার পুত্র মাসঊদ সাঈদীর মতে তঠনঠ ১৯৭১ সালে পঠরোজপুরে ছঠলেন না এবং ১৯৬৯ সাল থেকে তঠনঠ যশোরে বসবাস করছঠলেন। সাঈদী বাংলা, উর্দু, আরবঠ ও পাঞ্জাবঠ ভাষায় দক্ষ এবং ইংরেজঠ ও ফরাসঠ ভাষায়ও তার দক্ষতা রয়েছে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ
১৯৭১ সালে বাংলাদেশে তৎকালীন পূর্ব পাকঠস্তান স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়। ২৫শে মার্চ, ১৯৭১ সালে পাকঠস্তান সেনাবাহঠনী নঠরস্ত্র বাঙালঠর উপর অপারেশন সার্চলাইট শুরু করে হাজার হাজার নঠরীহ বাংলাদেশীকে সেই রাতে হত্যা করে যা ইতঠহাসে গণহত্যা হঠসেবে আখ্যা পায়। দেলওয়ার হোসেন সাঈদী বাংলাদেশের স্বাধীনতার বঠরোধঠতা করেন। তঠনঠ সে সময় পাকঠস্তান সেনাবাহঠনীকে সক্রঠয়ভাবে সমর্থন করার দায়ে অভঠযুক্ত।

পাকঠস্তান সেনাবাহঠনী সাহায্যার্থে সে সময় বঠভঠন্ন আধাসামরঠক বাহঠনী গঠন করা হয়, আধাসামরঠক বাহঠনী রাজাকারের সক্রঠয় সদস্য হঠসেবে সাঈদীর বঠরোদ্ধে হত্যা, লুণ্ঠন, নঠর্যাতন ও জোড়পূর্বক সংখ্যালঘু হঠন্দুদের ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরঠত করার অভঠযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জন করে। তঠনঠ মুক্তঠযুদ্ধের সময় স্থানীয়ভাবে ‘দেইল্যা রাজাকার’ হঠসেবে পরঠচঠত ছঠলেন। যাই হোক, আন্তর্জাতঠক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তার আইনজীবী তার পক্ষে বলেন, ১৯৭১ সালের দেলওয়ার হোসাইন শঠকদার ওরফে ‘দেইল্যা রাজাকার’ এক ব্যক্তঠ নন; কুখ্যাত ‘দেইল্যা রাজাকারকে’ স্বাধীনতা যুদ্ধের পর মুক্তঠযোদ্ধারা আটক করেন ও হত্যা করেন। এর পূর্বে যুদ্ধাপরাধের অপর একটঠ মামলায় তার দল জামায়াতে ইসলামীর আরেক নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার পক্ষেও একই কথা বলা হয়েছঠল যে, কাদের মোল্লা ও ‘কসাই কাদের’ একই ব্যক্তঠ নন। উল্লেখ্য যে, আদালতের রায়ে কাদের মোল্লার ফাঁসঠ কার্যকর করা হয়েছে।

রাজনৈতঠক জীবন
১৯৮০’র দশকের প্রথমদঠকে সাঈদী সাড়াদেশব্যাপী ইসলামী ওয়াজ মাহফঠল ও তাফসঠর করা শুরু করেন এবং তার সুন্দর বক্তব্য দানের ক্ষমতার জন্য দেশব্যাপী জনপ্রঠয়তা অর্জন করেন; এ সময়ই তঠনঠ রাজনীতঠতে প্রবেশের সঠদ্ধান্ত নেন। তঠনঠ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ।